Sunday, 23 February 2020

The Last Letter

The last letter
               —Surajit Ghosh

 Poetry will not be complete 
in the sense of time
 I knew, but I tried to fulfill it.
 In any role or conclusion
 Not the selected character,
 Wanted to be completely poetic,
 A simple poem.
 Still didn't ask,
 Who is acting in the lead role?
 I know.
 That's artificial,
 My faith is in heavenly love.
The feeling is unspoken there,
 Not in short or in composition,
 The dew is like the dry air
 From your own self the mind is touched,
 He does not get caught in the illusion of composition.
 With a sudden flash of light
 To go down suddenly
 Do you need artistic skills?
 Not classical dance or music -
 Need only
 Immaculate mind and white heart.
Picture by x

শেষ চিঠি।। The Last Letter


শেষ চিঠি

                   — সুরজিৎ ঘোষ।

সময়ের বিড়ম্বনায় সম্পূর্ণতা পাবে না কাব্য

জানতাম, তবু চেষ্টা করেছিলাম পূর্ণতা দিতে।

কোনো ভূমিকা বা উপসংহারে

নির্বাচিত চরিত্র নয়,

সম্পূর্ণ কাব্য হতে চেয়েছিলাম,

সহজ সরল একটি কাব্য।

তবুও প্রশ্ন করিনি,

মূল চরিত্রে অভিনয়টা কে করছে?

জানিনা এমনটাও নয়।

সেতো আর্টিফিশিয়াল ,

আমার বিশ্বাস স্বর্গীয় ভালোবাসায়।

অনুভূতি সেখানে বাক্ সিদ্ধ নয়,

অল্পকথায় বা রচনায় নয়,

সেতো শিশির সিক্ত বাতাসের ন্যায়

আপনা হতেই তনু মন প্রাণ ছুঁয়ে যায়,

রচিত মায়াজালে সে ধরা দেয় না।

হঠাৎ আলোর ঝলকানি দিয়ে

হঠাৎ করে নিভে যাওয়ার–

শৈল্পিক নিপুণতার কি প্রয়োজন?

ধ্রুপদী নৃত্য বা সঙ্গীত নয়–

প্রয়োজন শুধু,

নিষ্কলঙ্ক মন ও সফেদ হৃদয়।

Picture by x

Wednesday, 25 September 2019

শারদ। Sharad

🌾 শারদ 🌾

                           সুরজিৎ ঘোষ।

মন তখন পরন্ত বিকেলে মেঠো পথ ধরে
হঠাৎ আসা একপশলা বৃষ্টির মাঝে,
শুভ্র কাশফুলে ঢাকা নদীর চরে।
নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে,
মন ছুঁয়ে গেছে অজানা শীতল বাতাস
বয়ে নিয়ে গেছে শরতের মাটির সুবাস।
দূর্বায় ঢাকা মাটির উপরে—
রাশি-রাশি ছড়ানো শিউলি ফুল,
দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের বাদ্যি।
শারদ প্রাতে শারদীয়ার আগমনীবার্তা শুনে,
প্রকৃতি তার চেনা রূপ ছেড়ে—
সেজেছে যেন কোন নতুন সাজে।
নীলাকাশের ঐ সাদা মেঘ ,
নদীর বুকে ঐ সাদা কাশফুল ,
মাঠ ভরা সবুজ ধানের শীষের উপর
ভোরের ঝরে পড়া শিশিরের নীড়।
বর্ষার জলে পুষ্ট বিলে পদ্মের ভিড়,
প্রভাতের সোনালী সূর্য কিরনে দেখি
প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী রূপ।
 ভাবনা ও বাস্তবের সীমারেখা হীন সম্পৃক্ততা
নাশ করে মনের সব চঞ্চলতা,
মন তখন শুধু তন্ময় হয়ে দেখে—
শরতের এই অপরূপ আবেশে
মায়ের সুসজ্জিত প্রকৃতিময় রূপ।
Sharad: Cash flowers (kash flowers) at the base of Mundeshwari river. Picture location at Natibpur, Khanakul, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.

Wednesday, 4 September 2019

নদী ও নৌকা ।। Nadi O Nouka.

➖ নদী ও নৌকা ⛵

                             —সুরজিৎ ঘোষ।


নদীর চরে ইতস্তত ফুটে থাকা কাশফুলে
দোলা দিয়ে যায় দখিনা বাতাস,
আকাশে উড়ে যায় জানা অজানা কত পাখী,
প্রভাতের স্বর্ণঝরা রোদ বাধা পায়
স্রোতহীন নদীর শ্যাওলা ধরা জলে।
নদীটি লুপ্ত যৌবনা,
সে গাঙে আর জোয়ার আসে না।
আগাছায় ভরা নদীর বুক—
অনেক কষ্টে শ্বাস নেয়।
হৃদয়ে একরাশ দুঃখ আর
মনে অদম্য বাঁচার ইচ্ছা নিয়ে—
নদীর বুকে মুখ গুঁজে পরে থাকে নৌকাটি।
এ যেন নদী ও নৌকার অস্তিত্বের সংগ্রাম।
জীবনে ফেলে আসা সুন্দর মুহূর্ত গুলো ভেবে
নদীর বুকে মুখ লুকিয়ে
অনেক কেঁদেছে নৌকাটি।
সুখ–দু্ঃখ পদ্মপত্রে রাখা জলের মতো,
কালের নিয়মে সবই চলে যায়,
তবুও ওরা স্বপ্ন দেখে— বাঁচার।
যদি কোনদিন ওদের দুঃখ, হতাশা
মেঘ হয়ে বর্ষায় নদীর বুকে,
যদি গাঙে আবারও জোয়ার আসে,
তবে আবারও একদিন নদীর ঢেউয়ে
নেচে উঠবে নৌকার হৃদয়।
নদী স্রোতস্বিনী হয়ে ধুয়ে দেবে সব মলিনতা,
সব কাজ ফেলে মাঝি —
ছুটে আসবে তার নাওয়ের টানে,
আবারও ভাসবে নৌকা স্রোতের টানে,
মাঝি তার ধরবে হাল,
শুরু হবে পারাপার,
নৌকার বুকে তুলে দিয়ে পাল।
চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে
ওরা আজও স্বপ্ন দেখে— বাঁচার।
জীবনের ফেলে আসা কোনো রূপকথা নয়,
প্রকৃতির আপন খেয়ালে ঘটে যাওয়া
এ যেন এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনী।


Nadi O Nouka: Kana Darakeshwar River , Location at Pirtala, Atghara, khanakul, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.


Wednesday, 28 August 2019

আমাদের শৈশব।। Amader Shaishab.

➖আমাদের শৈশব➖

                          — সুরজিৎ ঘোষ।


আমরা যারা ছুটেছিলাম শৈশবে
শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে—
শরীরে শিহরন জাগানো ঘাসের
সেই স্পর্শ আজও ভুলিতে পারিনি।

আমরা যারা আকাশে উড়িয়েছিলাম ঘুড়ি,
নীল আকাশে হতে চেয়েছিলাম সাদা মেঘ,
পাখির মতো উড়তে চেয়েছিলাম আকাশে—
সত্যি সত্যিই ভালবেসেছিলাম প্রকৃতিকে।

ঝিরঝির বৃষ্টিতে ভিজে সারাবেলা,
আমরা যারা জল কাদায় ফুটবল খেলে—
বাড়িতে এসে বকুনি খেয়েছিলাম,
প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্বটা নিকট করেছিলাম।

আমরা ভেবেছিলাম পাহাড় হব—
পাহাড় হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব,
তবে পাহাড়ের মতো গাম্ভীর্য তখন ছিলনা,
তাই আমরা কেউই পাহাড় হতে পারিনি ।

কথাছিল ভেঁপু তৈরী করে বাজাব সারাবেলা
ভেঁপু তৈরী করেছিলাম বটে, বাজানো হয়নি।
শৈশবের সব ইচ্ছা গুলো পূর্ণতা পায়নি,
হয়তো ইচ্ছা ও বাস্তবের সীমারেখা বুঝিনি।
তবুও আমাদের শৈশবটাই যেন ভাল ছিল।

Amader Shaishab.

Tuesday, 13 August 2019

মন।। Man.

—মন—
                               সুরজিৎ ঘোষ
যেদিন কান্তদর্শী হয়ে মন কবিতা লিখতে চেয়েছিল—
সেদিনও নিস্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম।
মন বাউল হয়ে মেঠোপথ ধরে হারিয়ে যেতে চেয়েছিল—
সেদিনও দুচোখ ফিরিয়ে ছিলাম।
ধূসর পাহাড়, নীল সমুদ্র কতবার হাতছানি দিয়ে ডেকেছে,
বলেছে পরিপাটি জীবন ছেড়ে
একটিবার মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে দেখো—
জীবনকে খুঁজে পাবে বাঁচার আনন্দে,
সেদিনও ক্লান্তিহীন ছিলাম আমি।
শরতের নীল আকাশ, তাতে
সাদা মেঘ হতে চেয়েছিল মন,
হতে চেয়েছিল শিউলি তলার শিশিরে সিক্ত দূর্বা—
সেদিনও আমি মরুভূমির মরিচীকা হয়ে
জীবনের অসম্ভবকে সম্ভব করতেই ব্যস্ত ছিলাম।
কোনো কিছুই হয়ে ওঠা হয়নি—
বিকালে গানের সুর হয়ে বাতাসে ভাসা হয়নি,
হয়নি পূর্নিমার চাঁদ হয়ে নদীর জলে টলমল করা।
তোমার প্রতি সুবিচার হয়তো করতে পারিনি,
চেষ্টা করিনি তেমনটাও কিন্তু নয়।
অনেকটা চোখের জল, অনেকটা ব্যাথা,
আর অনেকটা ভাবনা কুড়ে কুড়ে খাবার পর
সমস্ত দ্বিধা দূরে রেখে আজ অকপটে স্বীকার করছি—
মন, তোমাকে হারিয়ে আমি ভালো নেই।
🦋 Butterfly
Picture by Surajit Ghosh.

Wednesday, 29 May 2019

দৃষ্টি কোন।। Dristikon.

🔹দৃষ্টি কোন।🔸
                     —সু্রজিৎ ঘোষ।

সূর্যের সোনালী আলোমাখা প্রভাতে,
পাখীদের প্রভাতী কলতানে
শুরু হয় নিয়ত যে জীবন সঙ্গীত
তার বিস্তার দেখি–
সোনালী রোদ মাখা পলাশে,
রূপোলী চাঁদের হাসি মাখা ক্ষেতে,
জ্যোতিষ্কদের মৌনতায় ঢাকা আকাশে।
জীবনে চলার পথে এক উদ্দীপ্ত আহ্বান
মহাজগতের সৃষ্টির সেই মহাসঙ্গীতে ।
সূর্যরশ্মির প্রতিটি বিচ্ছুরণে
যখন ন্যায় প্রতিষ্ঠা পাবে,
চন্দ্রকিরনের শুচিশুভ্রতায়
তখন ধূয়েযাবে রূপের সব গরিমা।
একদিন বিদ্যুৎ বহ্নির তেজস্বীতায়
পরাস্ত হবে সব বিক্রম।
নিস্তেজ দেহকে অতিক্রম করে যাবে মন,
অন্তহীন মনের আবেশে ধরা দেবে—
শিশিরসিক্ত প্রস্ফুটিত পুষ্পের মধুরিমা,
দূরদিগন্তের মৌন ধূসরিমা।



Saturday, 25 May 2019

সারদা মা। Sarada Maa.

🌺সারদা মা🌺
                        — সুরজিৎ ঘোষ।


মাতৃত্বের নব চেতনা সারদা মা।
মা মা ডাকে ব্যাকুলিত প্রানা
সন্তানের চিন্তায় সদা জাগ্রতা
উন্মুক্ত হৃদয়া মমতাময়ী মা।।

সদসতের ভেদাভেদহীনা
সংকীর্ণ জাতপাতের স্পর্শহীনা
বিশ্বজননী জগজ্জননী সারদামনী মা।।

মানব প্রেমের মহিমায় মহিমান্বিতা
মাতৃভাবে স্নেহাঞ্চলে সকলের আশ্রয়দাত্রী
মোদের পরম করুণাময়ী  মা।।

স্নেহান্তরে পূর্ণ বিকশিতা
বিশ্ব মঙ্গলার্থে সদা বিরাজিতা
মাতৃত্বের ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণা
মোদের পরম স্নেহময়ী মা।।

 Holy Mother Sarada Devi.

Monday, 15 April 2019

নব উন্মেষ।। Naba Unmesh.

➖নব উন্মেষ➖
   সুরজিৎ ঘোষ

কালবৈশাখীকে তুচ্ছ করে
নতুন কে নতুন করে পেতে
আনন্দাশ্রু ধারার বহমানতায়
আমি তোমাতেই মিশে যেতে চাই।

নবন্মিলীত যুগল নয়নে
শুধু তোমাকে ছুঁতে চাই।

গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহে বিবর্ণ সবুজে
প্রজাপতি হয়ে রং ছিটাতে চাই।

চাতকের বৃষ্টির মতো
তোমাকে পেতে আকুল হতে চাই।

প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম আর চাই না
চাইনা সহানুভূতির শীতল স্পর্শও
প্রয়োজন নেই  মানবপ্রীতির
শুধু চাই—
মনের সচেতনতা দূরকরে —
আরও একবার নিয়ন্ত্রণ হারাক তোমার দেহ।
আরও একবার আমার বুকে
তোমার মাথা রাখতে চাই,
শোনাতে চাই হৃদয়ের ক্রন্দন।
আবেগহীন দৃষ্টিতে বাস্তবকে চেনাতে চাই,
দেখাতে চাই কতটা কঠিন বাস্তবে
দাঁড়িয়ে আছে জীবন।
তোমাকে নিয়ে জীবনের ফিকে ক্যানভাসে
আরও একবার রং ছিটাতে চাই।
Oleander.
Picture by Surajit Ghosh.

Saturday, 16 February 2019

খেয়াল।। Kheyal.

খেয়াল ‌‌।।  
            সুরজিৎ ঘোষ।

আজ প্রকৃতি সেজেছে তার আপন খেয়ালে
সবুজ ধান গাছে ঢেকে গেছে মাঠ,
আকাশে এখনো মেঘের আনাগোনা-
খামখেয়ালী বৃষ্টিতে ভিজছি সারাবেলা।
শরৎ আসছে, মনে তাই অনাবিল আনন্দ,
মাঠ-ঘাট ঢাকবে কাশফুলে-
উঠানে ছড়ানো থাকবে শিউলি ফুল।
শিশিরে শিশিরে সিক্ত ঘাসে দিয়ে দোলা-
মন ছুঁয়ে যাবে আবার সেই স্নিগ্ধ শীতল হাওয়া।
আকাশে বাতাসে বাজবে শঙ্খ ধ্বনি-
মাতবে ভূবন ঢাকের তালে,
পূজার আনন্দে মাতবে সবাই
সাজাবে জীবন নুতন সাজে।
Paddy fields, palm trees & cloudy sky: Location at Ramnagar, Khanakul, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.



বুঝবে কবে।। Bujhbe Kobe.

বুঝবে কবে

                                  সুরজিৎ ঘোষ

শূন্যতা আজ গ্রাস করেছে মনকে
হৃদয়ে উঠেছে ধূলোঝড় —
ভাবনারা সব ক্লান্ত, এলোমেলো।
লক্ষ্যহীন-বিষাদগ্রস্থ জনজীবন,
এদিক-সেদিক বড়ই বেমানান।
কেন এমন হল?
প্রশ্ন কি কখনো করেছ?
করোনি, জানি করবেও না কোনো দিন,
উত্তর যে খুবই রূঢ় সেতো জানা।
প্রকৃতির কোলে শুয়ে—
প্রকৃতির খেয়ালকেই অবহেলা করেছ,
প্রকৃতির সৃষ্টিকে তুচ্ছ করে
মিথ্যা সৃষ্টির খেলায় মেতেছ।
চৈতন্যকি হবে? বুঝবে কবে—
প্রকৃতি তোমার দাস নয়,
তুমিই প্রকৃতির দাস—
তোমার সৃষ্টি অবীনশ্বর নয়।
তবু কেন এমন মিথ্যা মিথ্যা খেলা?
কিসের এত গর্ব, কিসের এত অহংকার?
প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি কি দেখনি
তুমি কি দেখনি –উত্তাল সমুদ্র,
তুমি কি শোননি–তীব্র বজ্রপাতের শব্দ,
তুমি কি অনুভব করনি–তীব্র ভূকম্পন,
তুমি বোধহয় ভুলে গেছ, তীব্র ঝড়
কতবার তোমার জীবনকে এলোমেলো করে গেছে।
তাও কি তুমি বলবে—
তুমি ক্ষমতাবান , তুমি বুদ্ধিমান।
picture by Surajit Ghosh.

Monday, 11 February 2019

জীবন পথিক ।। Jiban Pathik.

জীবন পথিক।।
                  — সুরজিৎ ঘোষ।


আরোপিত আবেগে হৃদয়কে ব্রাত্য করে,
মনোপথে হেঁটে জীবনের পথে দিক্ ভ্রষ্ট এক পথিক।
সব যুক্তিই তার জীবনকে নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ,
অস্পষ্ট পথ হাতরে এগিয়ে যায় সে।
ধাক্কা আসে, ধাক্কা খায় মুখথুবড়ে পড়ে —
জনবিচ্ছিন্ন পথে সে ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে চলে—
এগিয়ে যাওয়াই জীবন, থেমে থাকলে চলবে না।
সে যে জীবন পথের পথিক, সে যেন—
যান্ত্রিক সভ্যতার দ্বারা তীব্রভাবে প্রভাবিত।
সে নিজেকে প্রশ্ন করতেও ভুলে যায় —
কেনো তার এই পথচলা?
লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যহীন ধূমকেতুর ন্যায় —
নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত হয়ে সে বিপন্ন।
পথিক! প্রশ্ন কি তুমি এখনও করবে না?
না, কোনো প্রশ্নই সে করে না ।
হয়তো নীরবতাকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেছে সে।
এ যেন জীবনের এক নীরস দৃশ্যপট।
নান্দনিকতা সেখানে স্বল্পস্থায়ী,
বেদনা গুলো অদৃশ্য থেকেও নীরবে বেড়েই চলে
কল্পিত চিত্রপট পরক্ষণেই ভেঙে পড়ে,
স্বতঃস্ফূর্ততাহীন পথচলা,‌ হঠাৎই একদিন থেমে যায়—
আকাশে বাতাসে ওঠে ক্রন্দন ধ্বনি,
গুঞ্জন ওঠে — থেমোনা, এগিয়ে চলো।
পথিক তখন বিমূর্ত অন্ধকারে ,
যতই সে ধূম্রসম অন্ধকারে প্রবেশ করে —
জীবনের রহস্যময়তা ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
Sunset: Location at Divusut, Rajbalhat, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.
A

Tuesday, 22 January 2019

২৩ শে জানুয়ারী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শুভ জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

হে বীর!

        

              সুরজিৎ ঘোষ । 


হে বীর! সেদিন যদি জন্ম নিতাম -
রক্ত তোমায় নিশ্চিত দিতাম।
শুধু আমি নই,
এ যুগের শতকোটি ভারতীয় নর-নারী
শুধু তোমার কথায় জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিত।
সেই স্বাধীনতা আজও অধরা -
যে স্বাধীনতা দিতে চেয়েছিলে তুমি,
যে স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গকৃত তোমার জীবন
দিয়েছিলে নিজ আত্মাহুতি -
সেই স্বাধীনতা আজও নিভৃতে কাঁদে।
হে ভারতমাতার বীর সন্তান,
হে বীর যোদ্ধা নেতাজী,
আজও জ্বলন্ত অগ্নিশিখার ন্যায়
প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ে তুমি বিরাজমান।
হে বীর! আজও আমাদের গর্ব তুমি,
তোমাকে নিয়েই যত অহংকার।
তোমার নেতৃত্বে ভারত -
হতে পারতো আরও সমৃদ্ধ, 
হতে পারতো বিশ্বসেরা -
তুমি ছাড়া ভাগ্যহীনা এ ভারত মাতা


Netaji Subhash Chandra Bose's Birthday Celebration: Location at Gobindapur Primary School, Gobindapur, Helan, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.

Friday, 18 January 2019

ভুলে যাব।। Vule Jabo.

🥀ভুলে যাব
                           সুরজিৎ ঘোষ।

অবকাশ ছিলনা নাকি অন্য কোন ইচ্ছা ছিল
সে কথা স্পষ্ট করে বলা খুব কঠিন,
হয়তো ইচ্ছা ছিল অন্য কিছু নিয়ে ভাববো বা অন্য কাউকে
বোধহয় সেটাই ছিল তোমাকে অবহেলার কারণ,
তবে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
সময় তোমার গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছে,
তোমার সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে শিখিয়েছে
সেকথা আজ অকপটে স্বীকার্য
তুমি কিন্তু উপলব্ধির মধ্যেই ছিলে,
বাকিটা পরিস্থিতির চাপ বলতে পার।
তোমার জন্য হৃদয় আজও কাঁদে -
একাকি কোন নির্জন স্থানে,
তোমার অপেক্ষায় চুলে পাক ধরেছে ঠিকই
কিন্তু মনের সজীবতা আজও ফিকে হয়নি।
জানি, তবু একদিন পরাজিত হব -
সময়ের নিষ্ঠুর আঘাতে।
হয়তো একদিন হ্রাস পাবে সব স্মৃতি,
মিটে যাবে সব অপেক্ষা -
থাকবে না আর কোন অবহেলা,
সেই দিন নিশ্চিত ভুলে যাব তোমায়।
Chrysanthemum.
Picture by Surajit Ghosh.

Saturday, 1 September 2018

যে তৃষা জাগিলে তোমারে হারাবো
সে তৃষা আমার জাগায়ো না,
যে ভালবাসায় তোমারে ভুলিব
সে ভালবাসায় ভুলায়ো না ।
যে জ্ঞানের দীপ তোমারে লুকায়
সে জ্ঞানের দীপ জ্বালায়ো না,
যে যাতনা পেলে তোমারে লভিব
সে যাতনা মোর হরিও না।
যে নেশা আমায় তোমা ছাড়া করে
সে নেশা আমার জাগায়ো না,
যে সুখ লভিলে তোমারে ভুলিব
সে সুখ সাগরে ভাসায়ো না।
যে কথার মাঝে তব কথা নাই
সে কথা আমারে শুনায়ো না,
যে আঁখি ঝরিলে তোমারে লভিব
সে আঁখির ধারা মুছায়ো না।
যে তৃষা জাগিলে তোমারে হারাবো
সে তৃষা আমার জাগয়ো না।


কথা - স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ।
Lyrics -Swami Purnatmananda Maharaj.
সুরকার - স্বামী বলভদ্রানন্দ মহারাজ।
Music - Swami Balavadrananda Maharaj.
কন্ঠ - স্বামী শিবাধীসানন্দ মহারাজ।
Singer - Swami Shibadhisananda Maharaj.

Monday, 27 August 2018

তালগাছ

"তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।....."
তালগাছ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত 'তাল গাছ' কবিতা মনে পড়ে? গ্রাম-বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তাল গাছ যে একটা অন্যতম ভূমিকা পালন করে এসেছে সে নিয়ে বিতর্ক তেমন একটা নেই বললেই চলে। মেঠোপথের দুধারে, পুকুর পাড়ে, দিঘির পাড়ে, মাঠের মাঝে অথবা ঘরের আনাচে কানাচে.....এই গাছ রাজত্ব করে এসেছে। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় বর্তমানে এই গাছটি পরিমাণে অনেক কম চোখে পড়ছে ।এই ভাবে চলতে থাকলে এই গাছটিও বিলুপ্তির পথে চলে যাবে । অথচ এই তালগাছ কিন্তু একসময় গ্রাম বাংলার মানুষের খাদ্য-বাসস্থান-শিল্প সংস্কৃতিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে এসেছে, এখনও করছে। একসময় সীমানা নির্ধারণের জন্যও তাল গাছ বসিয়েছে মানুষ, কাণ্ডকে ব্যবহার করেছে জলপথে পরিবহনের জন্য। বজ্রবিদ্যুৎ কে টেনে নিয়ে অনেক প্রানীর জীবন রক্ষা করেছে এই তালগাছ। বর্তমানে লোকালয়ে বজ্রপাতে জীবনহানির বেদনাদায়ক ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকে, এই আকস্মিক বিপদের হাত থেকে বাঁচতেও এই গাছটি নিয়ে ভাবা দরকার।
- সুরজিৎ ঘোষ।
Palm trees : Location at pole, Khanakul, Hooghly.
Picture by Surajit Ghosh.

Friday, 17 November 2017

তবু মনে রেখো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি
তবু মনে রেখো।
যদি জল আসে আঁখিপাতে,
এক দিন যদি খেলা থেমে যায় মধুরাতে,
তবু মনে রেখো।
এক দিন যদি বাধা পড়ে কাজে শারদ প্রাতে
মনে রেখো।
যদি পড়িয়া মনে
ছলোছলো জল নাই দেখা দেয় নয়নকোণে–
তবু মনে রেখো।


Wednesday, 15 November 2017

ভগিনী নিবেদিতা।। Sister Nivedita.


■ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল, এই আইরিশ অগ্নিকন্যাকে আমরা চিনি ভগিনী নিবেদিতা নামে। জন্ম উত্তর আয়ারল্যান্ডের টাইরনে ২৮শে অক্টোবর ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে। পিতা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল, মাতা মেরি ইসাবেল। তাঁর জীবনের তিনটি পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। জীবনের প্রথম পর্যায়েই তিনি নিজেকে সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। মানব সেবাই ঈশ্বর সেবা -পিতার এই শিক্ষা তাঁর জীবনের মূলমন্ত্রে পরিণত হয় এবং মানব সেবাই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ হয়ে ওঠে। সেই লক্ষ্যই নিকটবর্তী হয় যখন স্বামীজির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। স্বামীজির জীবন দর্শনেই তিনি তাঁর মানবতার পথকে প্রত্যক্ষ করেন। স্বামীজির আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন এবং স্বামীজির কাছে দীক্ষা নেন।স্বামীজি তাঁকে দীক্ষা দিয়ে নিবেদন করলেন ভারতমাতার কাজে, নাম দিলেন নিবেদিতা। এখানেই তাঁর জীবনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হল। ভারতে এসে ভারতবর্ষের শিক্ষা-সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবনের জন্য তিনি নিজেকে নিয়োজিত করলেন। দেশের মেয়েদের শিক্ষিত করার ভার পরেছিল তাঁর উপরেই। স্বামীজির আদেশেই কলকাতার বাগবাজারে মেয়েদের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তিনি একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। সেই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিই বর্তমানে নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় নামে পরিচিত। কালী দি মাদার, ওয়েব অব্ ইন্ডিয়ান লাইফ, ক্রেডল্ টেলস্ অব্ হিন্দুইজম্ ইত্যাদি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। পরাধীন ভারতের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নিবেদিতাই তখন সকলের অনুপ্রেরনা। ভারতকে পুনরায় জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাইয়ে দেওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। কবির কাছে নিবেদিতা তখন লোকমাতায় পরিনত হয়েছেন। স্বামীজির দেহত্যাগের পর তিনি উপলব্ধি করেন স্বামীজির আদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে ভারতকে স্বাধীন করতে হবে। পরাধীনতার অন্ধকারে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব আসা সম্ভব নয় বুঝে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তিনি নিজেকে যুক্ত করেন। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর জীবনের তৃতীয় পর্যায়। তাঁর কথা ও কাজে ছিল দেশপ্রেমের আগুন, সেই আগুনের ফুলকি যেখানেই পড়েছে সেখানেই লেলিহান হয়ে উঠেছে। শ্রী অরবিন্দের কাছে নতুন নাম পেলেন - শিখাময়ী। তিনি যুব সমাজের বুকে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন সেই সেইসময়। মাত্র ৪৪ বছর বেঁচেছিলেন তিনি। ১৮৯৮ এর জানুয়ারিতে ভারতে এসেছিলেন, ভারতবর্ষের সর্বাঙ্গীন কল্যানের জন্য। ১২ - ১৩ বছরের তার সেই অক্লান্ত পরিশ্রম আমরা কখনও ভুলবনা। স্বামীজির মানসকুসুমে প্রস্ফুটিত নিবেদিতাই ভারতের জন্য শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্য হয়ে থাকবে।

ভুলে যাব।

The Last Letter

The last letter                —Surajit Ghosh   Poetry will not be complete  in the sense of time  I knew, but I tried to fulfil...