— সুরজিৎ ঘোষ।
আরোপিত আবেগে হৃদয়কে ব্রাত্য করে,
মনোপথে হেঁটে জীবনের পথে দিক্ ভ্রষ্ট এক পথিক।
সব যুক্তিই তার জীবনকে নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ,
অস্পষ্ট পথ হাতরে এগিয়ে যায় সে।
ধাক্কা আসে, ধাক্কা খায় মুখথুবড়ে পড়ে —
জনবিচ্ছিন্ন পথে সে ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে চলে—
এগিয়ে যাওয়াই জীবন, থেমে থাকলে চলবে না।
সে যে জীবন পথের পথিক, সে যেন—
যান্ত্রিক সভ্যতার দ্বারা তীব্রভাবে প্রভাবিত।
সে নিজেকে প্রশ্ন করতেও ভুলে যায় —
কেনো তার এই পথচলা?
লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যহীন ধূমকেতুর ন্যায় —
নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত হয়ে সে বিপন্ন।
পথিক! প্রশ্ন কি তুমি এখনও করবে না?
না, কোনো প্রশ্নই সে করে না ।
হয়তো নীরবতাকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেছে সে।
এ যেন জীবনের এক নীরস দৃশ্যপট।
নান্দনিকতা সেখানে স্বল্পস্থায়ী,
বেদনা গুলো অদৃশ্য থেকেও নীরবে বেড়েই চলে
কল্পিত চিত্রপট পরক্ষণেই ভেঙে পড়ে,
স্বতঃস্ফূর্ততাহীন পথচলা, হঠাৎই একদিন থেমে যায়—
আকাশে বাতাসে ওঠে ক্রন্দন ধ্বনি,
গুঞ্জন ওঠে — থেমোনা, এগিয়ে চলো।
পথিক তখন বিমূর্ত অন্ধকারে ,
যতই সে ধূম্রসম অন্ধকারে প্রবেশ করে —
জীবনের রহস্যময়তা ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।